2024 সালে শেখার জন্য 5টি সেরা অনলাইন দক্ষতা | Best 5 Skills to Learn In 2024

Photo of author

By WB Adda Desk

Best 5 skills to learn in 2024: আপনি যদি পড়াশোনার পাশে ভালো আয় করতে চান, তাহলে ভালো বেতনের চাকরি করতে হবে। যদি বেশি বেতনের চাকরি পেতে চান তাহলে এমন কিছু দক্ষতা শেখা প্রয়োজন যেগুলির চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। শিক্ষার কোনো শেষ নেই, তাই আপনি বাজারের চাহিদা অনুযায়ী অনেক স্কিল শিখতে পারেন। তবে আজ আমরা শুধু মাত্র ৫টি দক্ষতা সম্পর্কে জানবো, যেগুলির চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। আপনি যে বিভাগেই পড়াশুনা করছেন না কেন, তার সঙ্গে এই সমস্ত বাড়তি স্কিলগুলি শিখে রাখতে পারেন। তাহলে আসুন দেরি না করে এগুলির সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনি। 

২০২৪ সালে শেখার জন্য সেরা ৫টি দক্ষতা (Best 5 skills to learn in 2024)

আপনি যদি পড়াশোনার সঙ্গে এমন কিছু বাড়তি স্কিল শেখার কথা ভাবছেন, যেগুলির চাহিদা ভবিষ্যতে প্রচুর বাড়বে এবং যেগুলি শিখে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। তাহলে আজকের এই প্রতিবেদন আপনার জন্য বিশেষ হতে পারে। কারন আজকের এই প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে শেখার জন্য সেরা ৫টি দক্ষতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলি নিম্নরূপ – 

1. AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)

Ai

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা AI মানে হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যা মানুষের মতো নিজে থেকেই কোনোকিছু শিখতে পারে। তবে এটি একজন মানুষের তুলনায় অনেক অনেক দ্রুত শিখে। AI সাধারণত ব্যবসাগুলি প্রক্রিয়াগুলি স্বয়ংক্রিয় করতে, ডেটা থেকে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করতে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উন্নত করতে ব্যাবহার করা হয়। এআই-কেন্দ্রিক ডিগ্রী প্রোগ্রাম বা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি এর সম্পর্কে শিখতে পারবেন। আবার এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও AI সম্পর্কে শেখানো হয়। আপনি শুরুতে ইউটিউব থেকে একদম বিনামূল্যে শিখতে পারেন। 

ভারতে AI ইঞ্জিনিয়ার এর গড় বেতন বার্ষিক ৮.৬ লক্ষ টাকার বেশি। AI তে মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, ডেটা সায়েন্টিস্ট, এআই গবেষণা বিজ্ঞানী, কম্পিউটার ভিশন ইঞ্জিনিয়ার, প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (এনএলপি) প্রকৌশলী, রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার, এআই প্রোডাক্ট ম্যানেজার, এআই এথিসিস্ট, এআই কনসালটেন্ট, এআই প্রশিক্ষক এবং শিক্ষাবিদ, এআই, সফটওয়্যার ডেভেলপার, এআই সিস্টেম আর্কিটেক্ট, এআই সেলস ইঞ্জিনিয়ার এবং এআই অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি ক্যারিয়ার এর সুযোগ রয়েছে। 

2. কপিরাইটিং 

copywriting

কপিরাইটিং হলো এমন একটি পরিষেবা বা পণ্য যা বাধ্যতামূলক বিষয়বস্তু লেখার শিল্প এবং বিজ্ঞান। কপিরাইটাররা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্য এবং ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট লিখে। আবার ওয়েবসাইট, ব্লগ, যোগাযোগের অন্যান্য ফর্মগুলির জন্য কপি তৈরি করে। যা থেকে গ্রাহকরা আকৃষ্ট হয় এবং দর্শকরা যুক্ত হতে পারে। এই কারণেই কপিরাইটিং এর জন্য ভালো বেতন পাওয়া যায়। আপনি কপিরাইটিং শিখে কপিরাইটার, বিষয়বস্তু কৌশলবিদ, বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপক এবং ফ্রিল্যান্স কপিরাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। ভারতে একজন ফুলটাইম কপিরাইটার বার্ষিক গড় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে।

3. ডিজিটাল মার্কেটিং

Degital Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং মানে হলো বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করা।ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), কীওয়ার্ড রিসার্চ এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে হবে। আপনি চাইলে এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স করতে পারেন, আবার ইউটিউব থেকেও শিখতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পর আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ, কন্টেন্ট মার্কেটিং ম্যানেজার, এসইও বিশেষজ্ঞ, সামাজিক মাধ্যম ব্যবস্থাপক, ইমেইল মার্কেটিং ম্যানেজার, PPC (পে-পার-ক্লিক) বিশেষজ্ঞ, ডিজিটাল মার্কেটিং বিশ্লেষক, ই-কমার্স মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ম্যানেজার, ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ম্যানেজার, ইউটিউব ম্যানেজার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষক/প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারেন। ভারতে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদার প্রতিবছর ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে।

4. ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 

Full stack Developer

ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্টে এন্ড-টু-এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর দক্ষতা থাকার কারণে এদের বেতন বেশি হয়। ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্টে মানে ফর্নটেন্ট বা ক্লায়েন্ট সাইট এবং ব্যাকএন্ড বা সার্ভার সাইট, উপয়ের দক্ষতা থাকতে হবে। এরফলে আপনি আরও ভালো ও সক্রিয় ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ বানাতে পারবেন। আপনি ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার পর ফর্নটেন্ট ডেভলপার, ব্যাকএন্ড ডেভেলপার, ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার, ওয়েব ডেভেলপার, জাভাস্ক্রিপ্ট ডেভেলপার, সিএমএস ডেভেলপার, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কনসালটেন্ট, ই-কমার্স ডেভেলপার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষক/প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। ভারতে একজন দক্ষ ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভলপার বার্ষিক ৮.৮ লক্ষ টাকা থেকে ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে।

5. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট 

আপনি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে মোটা বেতনের চাকরি পেতে পারেন। বর্তমানে ছোটো-বড়ো সমস্ত কোম্পানি গ্রাহকের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য তাদের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করছে। আবার বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে অনেক কাজেই মোবাইল অ্যাপের দ্বারা হচ্ছে। তাই এখন এই কাজের চাহিদা প্রচুর। আপনি মোবাইল অ্যাপ ডেভলপমেন্ট শিখে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার, iOS ডেভেলপার, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার, মোবাইল অ্যাপ UI/UX ডিজাইনার, মোবাইল অ্যাপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার এবং ফ্লটার মোবাইল ডেভেলপার রূপে কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি নিজেই কোনো কার্যকর অ্যাপ বানিয়ে লঞ্চ করতে পারেন। ভারতে একজন অ্যাপ ডেভলপারের গড় বার্ষিক আয় প্রায় ১০.৭ লক্ষ টাকা।

এগুলি বাদ দিয়েও অনেক স্কিল রয়েছে যেগুলি আপনি ২০২৪ সালে শিখতে পারেন। যেমন – ব্লকচেইন, ব্লগিং, ক্লাউড কম্পিউটিং, ডেটা বিশ্লেষণ, ডেটা সায়েন্স, নৈতিক হ্যাকিং, মেশিন লার্নিং, পাইথন, SEO, ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ইত্যাদি। এগুলিরও চাহিদা ভবিষ্যতে প্রচুর।

শিক্ষা, চাকরি, স্কলারশিপ এবং আরও অন্যান্য গুরুত্বপর্ণ খবর সবার প্রথমে পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন 👇